জমির পরিমাপ পদ্ধতি: সরকারি ও প্রচলিত সবকিছুর এক গাইড
সরকারি স্ট্যান্ডার্ড, মেট্রিক ও ব্রিটিশ পদ্ধতি এবং আঞ্চলিক মাপ-ঝোঁকের পার্থক্যসহ জমির পরিমাপের সম্পূর্ণ ধারাবাহিকতা জানুন।
ভূমি পরিমাপের জন্য সরকারি যে স্ট্যান্ডার্ড মাপ ব্যবহার করা হয়, তা সারাদেশে সর্বজন গ্রহণযোগ্য। দলিলপত্র, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ডেসিমেল, কাঠা, বিঘা এবং একর—এই এককগুলোই প্রাধান্য পায়। তবে বাস্তবে কাজ শুরুর আগে মেট্রিক, ব্রিটিশ ও আঞ্চলিক মাপ সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি।
সরকারি বা স্ট্যান্ডার্ড মাপ
- ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতক
- কাঠা
- বিঘা
- একর
ভূমি সংক্রান্ত সব দলিল লিখন, সরকারি নথি এবং জরিপ কাজে এই মাপগুলোতেই আয়তন লিপিবদ্ধ করা হয়।
মেট্রিক পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য পরিমাপ
- সহস্র – কিলোমিটার
- শতক – হেক্টোমিটার
- দশক – ডেকামিটার
- একক – মিটার
- দশমাংশ – ডেসিমিটার
- শতাংশ – সেন্টিমিটার
- সহস্রাংশ – মিলিমিটার
মেট্রিক কনভার্সন সূত্র
- ১ কিলোমিটার = ১০ হেক্টোমিটার = ১০০ ডেকামিটার = ১০০০ মিটার
- ১ হেক্টোমিটার = ১০ ডেকামিটার = ১০০ মিটার
- ১ ডেকামিটার = ১০ মিটার
- ১ মিটার = ১০ ডেসিমিটার = ১০০ সেন্টিমিটার = ১০০০ মিলিমিটার
- ১ ডেসিমিটার = ১০ সেন্টিমিটার = ১০০ মিলিমিটার
- ১ সেন্টিমিটার = ১০ মিলিমিটার
মেট্রিক পদ্ধতিতে ক্ষেত্রফল কনভার্সন
- ১ বর্গকিলোমিটার = ১০ বর্গহেক্টোমিটার = ১০০ বর্গডেকামিটার = ১০০০ বর্গমিটার
- ১ বর্গহেক্টোমিটার = ১০ বর্গডেকামিটার = ১০০ বর্গমিটার
- ১ বর্গডেকামিটার = ১০ বর্গমিটার
- ১ বর্গমিটার = ১০ বর্গডেসিমিটার = ১০০ বর্গসেন্টিমিটার = ১০০০ বর্গমিলিমিটার
- ১ বর্গডেসিমিটার = ১০ বর্গসেন্টিমিটার = ১০০ বর্গমিলিমিটার
- ১ বর্গসেন্টিমিটার = ১০ বর্গমিলিমিটার
ব্রিটিশ বা ইম্পেরিয়েল পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য
ইম্পেরিয়েল পদ্ধতিতে প্রাথমিক একক হল ফুট, যার মাধ্যমে ইঞ্চি থেকে মাইল পর্যন্ত দৈর্ঘ্য নির্ণয় করা যায়।
- ১ থাউ = ১/১২০০০ ফুট
- ১ ইঞ্চি = ১০০০ থাউ = ১/১২ ফুট
- ১ ফুট = ১২ ইঞ্চি
- ১ গজ = ৩ ফুট
- ১ চেইন = ২২ গজ = ৬৬ ফুট
- ১ ফার্লং = ১০ চেইন = ৬৬০ ফুট
- ১ মাইল = ৮ ফার্লং = ৫২৮০ ফুট
- ১ লগ = ৩ মাইল = ১৫৮৪০ ফুট
দৈনন্দিন ব্যবহারে ইঞ্চি, ফুট, গজ ও মাইল সবচেয়ে বেশি প্রচলিত।
ইম্পেরিয়েল ক্ষেত্রফল একক
- ১ বর্গফুট = ১৪৪ বর্গইঞ্চি
- ১ বর্গগজ = ৯ বর্গফুট = ১২৯৬ বর্গইঞ্চি
- ১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ = ৪৩৫৬০ বর্গফুট
আঞ্চলিক বা দেশীয় প্রচলিত মাপ
সরকারিভাবে ভূমির পরিমাপ একর ও শতক পদ্ধতিতে করা হলেও বিভিন্ন অঞ্চলে কানি-গন্ডা বা বিঘা-কাঠা নামে পরিচিত স্থানীয় একক ব্যবহৃত হয়। একই নামে এককের আয়তন অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে, তাই জমি মাপার সময় স্থানীয় স্বীকৃত মান যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।